*** কিশোর মজুমদারের “আমিও পারি” বইটি এখুনি অনলাইনে অর্ডার করতে পারেনঃ Link
Patrabharati: website:https://bit.ly/3fFw3Uu
Amazon : https://amzn.to/3sWoRad
Flipkart: https://bit.ly/3wyKyiL
প্রেমের সংলাপ – ৬
রোদ ও বৃষ্টি
রুদ্র : হ্যালো …
চয়নিকা : হুম .. বলো শুনছি
রুদ্র : কি ব্যাপার বলো তো ? আজ কোনো ফোন নেই টেক্সট করেছি রিপ্লাই দাও না . খুব আপসেট মনে হচ্ছে ?
চয়নিকা : দূর .. কিছু ভাল্লাগে না । পাগল হয়ে যাচ্ছি। বাড়িতে মা নেই এদিকে বাবা ছুটি পেয়ে অফিসের একগাদা লোককে নিমন্তন্ন করে বসে আছে। ভাইকে ঘুম থেকে তুলে বাজারে পাঠালাম । তারমধ্যে ভুলুর মা ফোন করল , আজ আসতে পারবে না।
রুদ্র : ওহ ! তাহলে তো সেই চাপ আছে তোমার । রান্না কদ্দুর ?
চয়নিকা : ঐতো রান্না কমপ্লিট করলাম । উনাদের সাত সাতজন কে খেতে দিলাম । … জাস্ট খাওয়া কমপ্লিট হল । বাসন কোসন সব পরে আছে ।
যাগ্গে । কি খবর বলো তো। আজ তোমার প্রোগ্র্যাম ছিল না ? যাও নি এখনো ?
রুদ্র : নাহ গেলাম না । ভালো লাগছে না । ওদের না করে দিলাম।
চয়নিকা : দাঁড়াও দাঁড়াও দাঁড়াও দাঁড়াও ….. নামলো বৃষ্টি । ছাদে এক গাদা জামাকাপড় । ভিজলো সব একটু হোল্ড করো আসছি ।
— উফ সিঁড়ি বাইতে বাইতে শেষ আর কি ।
বলো , ওহ কি যেন বললাম ? ও তুমি গেলে না কেন ? কলেজের প্রোগ্রাম । খুব বড় অনুষ্ঠান । তো ক্যান্সেল করলে কেন ?
রুদ্র : ছাড়ো তো ওসব । ভাবছিলাম তুমি আমি একটু বেরু বেরু কৰো । সে তো আর হলো না ।
চয়নিকা : হল না কেন ? আমার তো সব কমপ্লিট । শুধু বাবাটাকে একটু ম্যানেজ করতে পারলেই … (জোরে বৃষ্টির শব্দ )
রুদ্র : এই তো এখানেও শুরু হয়ে গেল । কি আর করা । তুমি খাবে না ? যাও খেয়ে এস , কথা বলি।
চয়নিকা : তুমি খেয়েছ ? হ্যালো , বলি তুমি খেয়েছ ? হ্যালো হ্যালো ……
( বৃষ্টির শব্দ …৩ সেকেন্ড পরে )
রুদ্র : হ্যালো বলো ?
চয়নিকা : কই গেলে তুমি ? এই যে না বলে চলে যাও না , ভাল্লাগে না।
রুদ্র : ব্যালকনিতে এলাম , বৃষ্টি দেখব । খুব মেঘ দেখা যাচ্ছে । যাও না খেয়ে এস । আর কোথাও যাবো না , ফোনেই কথা বলবো ।
চয়নিকা : আমি এখন খাবো না , ভাই একটা বইয়ের দোকানে গেল , …ওহো — ছাতা নিয়ে যায় নি । ও এলে খাবো একসাথে …তুমি বল …আজ কিছু লিখলে ? ওহো , তোমায় বলতেই ভুলে গেছি , কালকের পত্রিকায় বেরোনো তোমার লেখাটা আজ পড়লাম । খুব ভালো লিখেছ , তবে …
রুদ্র : তবে ?
চয়নিকা : তবে , তুমি তোমার লেখার প্যাটার্নটা চেঞ্জ করো প্লিজ ।ওই ছন্দবদ্ধ একই প্যাটার্ন লিখে চলছ
রুদ্র : কিরকম লিখবো তবে ?
(বৃষ্টির শব্দ)
চয়নিকা : বাইরে থেকো না , ঘরে চলে এস ঠান্ডা লাগবে তোমার
রুদ্র : কিছু হবে না গো … শোনো না গো ..সেদিন …
চয়নিকা : সেদিন ?
রুদ্র : সেদিন নীল শাড়িতে খুব ভালো লাগছিলে তুমি .. কানে ঐরকম দুল পড়েছ .. কখনো তো পরো না ..গাছের ধূসর ব্যাকগ্রাউন্ডে তোমার ওই পিকটা কিন্তু বাঁধাই করবো । . আমাদের লেখার ঘরে দেয়ালে রাখবো।
চয়নিকা : কেন , আমি একা কেন দেয়ালে ঝুলব ? তুমিও আমার সঙ্গে ঝুলবে । এক দড়িতে দুজন ।
রুদ্র : প্রেমের মধুরতা ভুলে মরণের কথা বলছ কেন ?
চয়নিকা : আরে কানুর প্রেমেই তো রাধার মরণ হল আর কি ।
রুদ্র : তোমার বুঝি সেই দশা ?
চয়নিকা : তা নয়তো কি ? তোমার এক ফোনেই আমি উতলা হয়ে
উঠি । আমি সারাদিন ফোন না করলে তো তোমার ভালোই হয় । ডিস্টার্ব থাকে না কোনো ।
রুদ্র : আজ সারাদিন অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু ।
চয়নিকা : কৃষ্ণও তাহলে রাধার অপেক্ষা করে ?
রুদ্র : নয়তো কি ? গানে গপ্পে কবি সাহিত্যিক শুধু রাধার
বিরহ আর যন্ত্রনাই দেখিয়েছেন । কিন্তু একবারও কি
ভেবে দেখেছো কৃষ্ণের দশা ?
চয়নিকা : কৃষ্ণের তো ভালোই । রাধা ছাড়াও তো অনেক ফ্যান ফলোয়ার আছে ।
রুদ্র : তাতে কি ? রাধা তো একটাই , না ? যাক গে , বলো কাল কি দেখা হবে শ্রীমতি রাধার সনে ?
চয়নিকা : ওমা , দেখো দেখো কি সুন্দর রোদ উঠেছে । তুমি আধ ঘন্টার মধ্যেই চলে এসো । শোনো না , বাইক নিয়ে এসো আজ । আর মনে হয় বৃষ্টি আসবে না ।
রুদ্র : জি ম্যাম , আমি 25 মিনিটেই চলে আসছি । কোথায় আসবো বলো ?
চয়নিকা : আমাদের ওই তল্লি গাছ ।
রুদ্র : রাধা কদম তমাল ছেঁড়ে তল্লি তলায় দাঁড়াবেন ?
চলো , রেডি হই ।
চয়নিকা : কি মজা । ওই শোনো না … তুমি আজ পাঞ্জাবি পড়বে বলো ? ওই যে হলুদ পাঞ্জাবিটা , আর হ্যাঁ , কোলাপুরি জুতো .. ওটাও পরে আসবে হ্যাঁ ।
রুদ্র : জিন্সের সঙ্গে কোলাপুরি স্যান্ডেল ?
চয়নিকা : না না । পাজামা পাঞ্জাবি আর ওই জুতো ।
রুদ্র : তুমি তাহলে শাড়ি পড়বে বলো ? বাইকে নীলাম্বরী শাড়ির আঁচল এড়িয়ে উড়বে তোমার খোলা চুল । বেশ , লম্বা একটা ট্যুর দেবো আজ ।
চয়নিকা : ধুস , শাড়ি পড়ব । কিন্তু আজ শ্যাম্পু করা হয় নি । চুল ছাড়তে পারবো না ।
রুদ্র : তথাস্তু । রাখছি তাহলে । একটা……. দেবে না ?
চয়নিকা : না , এখন না । রাখছি ওই যে ভাই এলো বুঝি । খেয়ে দেয়েই যাচ্ছি । রাখি ।
রুদ্র : ওকে ।
চয়নিকা : রাখলাম ।
রুদ্র : রাখো রাখো ।
চয়নিকা : তাহলে রাখি ? দেরি করো না কিন্তু ।
রুদ্র : রাখো রাখো । পাগলী একটা ….উফ ।
প্রেমের সংলাপ -৬ |রোদ ও বৃষ্টি এর পিডিএফ-টি ডাউনলোড করে নিন 👇👇👇
দেখে নিতে পারেন 👇
- প্রেমের সংলাপ – ১ | আগুন
- প্রেমের সংলাপ – ২ | কবি কবি ভাব
- প্রেমের সংলাপ – ৩ | মানুষ এত বোকা কেন
- প্রেমের সংলাপ – ৪ | পাগলা কবির মুড
- প্রেমের সংলাপ -৫ | অন্ধকারের প্রেমিক
- প্রেমের সংলাপ – ৬ | রোদ ও বৃষ্টি
- প্রেমের সংলাপ-৭ | শরীর না মন
- প্রেমের সংলাপ-৮ | চয়নিকার ঘর
কিশোর মজুমদারের কবিতার তালিকা👇
- আমিও পারি
- আমিও পারি ২ / (শুধু তোমারই জন্য)
- সম্পর্কের সামিয়ানা – প্রেমের কবিতা
- পরবাসী – আবৃত্তির বাংলা কবিতা
- একটি প্রেমের গপ্পো
- সেই হাত কোথায়
- রাত্রি
- ফাঁকা পকেটে প্রেমের স্বপ্ন
- ফাঙ্ ফাঙা নাগে
- আকাশ ছোঁয়া
- ভালো থাকিস খোকা
- ভোর দেখব বলে
- ঝরা পাতার উত্তর
- মানে
- আলপিনের বাক্স
- একাকীত্বের অংশীদার
- কান্না মেশে দীঘির জলে
- সন্ধ্যাতারা
- হৃদয় ফুলদানি
- তোতন ভূত দেখেছে আজ
- জলের ভাষায় মুখরতা
- জল-কাজলের অক্ষর
- নক্ষত্রের রাতগুলি
- পোড়ো বাড়ি
- মেয়ে-পুতুলের জন্মান্তর
- মা, আমায় আরেকবার জন্ম দাও
- কেন তুই চলে গেলি
- কেমন আছে অপু দুর্গারা ?
- গুগল সব জানে
- প্রণয় গাথা
- মনের মফস্বলে
- সরলরেখায়
- ত্রাণ শিবির
- ভালবাসার মানে অভিধান দেখে শেখা যায় না
- মোবাইল ফোন
- গোলাপ , ছুরি ও বন্দুক
- সাঁকো তলায় জলশব্দ
- তার চেয়ে চলো
- ব্যবধান
- সম্পর্কের সামিয়ানা
- ছাতা
- কোনো শর্ত নিষ্প্রয়োজন
- শিউলি ও শরৎ
- আগমনী
- স্বাধীনতা
- হরনাথের পিসি
- অভিমানী বর্ণমালা
- মেটে শরীরের খোলস
- বায়না
- যে বসন্ত চাইনি কোনোদিন
- তোমার তর্জনি ও আমার কম্পাস
- ডাক
- আহত ঘাসের শেকর
- মোক্তার চাচা
- বৃষ্টি নামার ছলে
- ভারতটা ঠিক কোন দিকে
- Sign Language ও বোবা আমি
- ডানা
- রাইকিশোরী
- কৌণিক কক্ষপথ
- মৃত্যু
- মনজঙ্গল
- বৃক্ষচ্ছায়া
- প্রবেশাধিকার