(দ্বৈত পাঠের জন্য) নিচে PDF link দেওয়া হল
রোম্যান্টিক প্রেমের সংলাপ দ্বৈত পাঠের জন্য । এখানে রুদ্র ও চয়নিকার জীবন বোধের সঙ্গে মান , অভিমান , অনুরাগ, রোম্যান্টিক ভাবনার সঙ্গে বাস্তবের সংঘর্ষ আমাদের নিজেদের জীবনকেই যেন ওরা দেখাচ্ছে । রুদ্র কবি মানুষ হলেও আধুনিক ভাবনায় ভাবিত । আর চয়নিকা নারীসুলভ কোমলতার সঙ্গে আধুনিকা ও দূরদর্শী। দুজনের কল্পনায় আপনাকেও ভেসে যেতে ইচ্ছে করবে । এই সিরিজের সমস্ত রচনাগুলি এক একটি মজার ও অনুভূতিমূলক পর্যায় নিয়ে রচিত। সেগুলি পেয়ে যাবেন সূচিপত্র অংশে। প্রতিটি চ্যাপ্টারের PDF Download Link দেওয়া হল। যাতে প্রিন্ট আউট নিয়ে রাখতে পারেন।
( প্রেমের সংলাপ – ১০)
সন্দেহের মেঘ
—- কিশোর মজুমদার
চয়নিকা = তোমার কি কোনো কান্ডজ্ঞান আছে ? তুমি …তুমি কি ভুলে যাচ্ছ যে তোমার একটা
তরতাজা Girlfriend আছে ?
রুদ্র = তোমার আবার কী হলো ? এত হাই ভোল্টেজ কেন আজ ?
চয়নিকা = হাই ভল্টেজ হবো না ? তোমার ফেসবুক প্রোফাইল দেখলাম জাস্ট । ওই মেয়েগুলোর
সাথে কীসের এতো পিরিত তোমার ?
রুদ্র = হয়েছে টা কী বলবে ?
চয়নিকা = বলবো না যাও। তোমার যা খুশি করো। যাকে ইচ্ছে হৃদয় , মন , প্রাণ জান , জামা , কাপড়
জুতো , মুজো সব সঁপে দাও গিয়ে যাও – -আমি কিচ্ছুটি বলবো না।
রুদ্র = এবার কিন্তু ভেজা গরম হয়ে যাবে আমার। খুলে বলো তো কি হয়েছে ? কোথায় সমস্যা
হয়েছে তোমার বলো ?
চয়নিকা = আগে জানতাম লাভ সিম্বল হৃদয়ের প্রতীক । যাকে হৃদয় দেওয়া হয় তাকেই লাভ রিয়েক্ট
দেয় মানুষ।
রুদ্র = ও বুঝেছি । লাভ রিয়েক্ট। আমি ভাবলাম আবার কি না কি । কিন্তু কে ? কাকে হৃদয় দিয়ে
দিচ্ছে সস্তা পাইকারি দরে । সেটা তো বলবে।
চয়নিকা = তুমি । তুমিই তো যাকে তাকে দিয়ে দিচ্ছ তোমার লাল টকটকে তাজা হৃদয় । আরো খুলে
বলতে হবে ?
রুদ্র = বলো প্লিজ । না বললে বুঝবো কী করে ?
চয়নিকা = ন্যাকা। যেন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তে মেয়োনিজ ভরাতে শেখেনি। তুমি সব জানো, জেনে বুঝে
আমার সঙ্গে ন্যাকামি মারছো। তুমি – তুমি একটা দুমুখো সাপ। তুমি – তুমি একটা……
রুদ্র = এই stop.. stop..stop। থমো – থামো। কুল। প্লিজ একটু শান্ত হও। এবার একটা জোরে বুক
ভরে নিঃশ্বাস নাও । এইভাবে ( হুম….. … হু/ জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে দেখাবে ) এরকম আস্তে
আস্তে দম ছাড়ো । তারপর বলো । সব ক্লিয়ার করে বলো।
চয়নিকা = ওই মেয়েটা….
রুদ্র = কোথায় ? কোন মেয়েটা ? চারপাশে কাউকেই তো দেখছি না।
চয়নিকা = ফেসবুকে।
রুদ্র = ফেসবুকে…? বলো বলো । ফেসবুকে কি ?
চয়নিকা = (একদমে দ্রুত বলে যায়) ওই নীলপরী মেয়েটা তোমাকে এত বড় একটা কমেন্ট করলো
কেন ? আর তুমি খুশিতে গদগদ হয়ে ওকে লাভ রিয়েক্ট দিয়েছো ।
রুদ্র = তো কি হয়েছে ?
চয়নিকা = শুধু ও নয় । অনামিকা, নয়নতারা, অ্যানিডা সবাই বড় বড় কমেন্ট করে – । ইস্ কত ন্যাকা
যেন কিছু জানো না।
রুদ্র = কমেন্ট করে । তো ?
চয়নিকা = সবাইকে বড় বড় love react দিয়েছো। একেবারে হৃদয় উজার করে … খুব পিরিত হয়েছে
তোমার না ? কথা বলবো না আজ থেকে । যাও. …
রুদ্র = সমস্যাটা কোথায় ?
চয়নিকা = সমস্যাটা কোথায় মানে ? তোমার হৃদয় মানে হার্ট , এটা , এটা শুধুই আমার । – আমারই
ছিল এতদিন। এখন দেখছি গোডাউন হয়ে উঠেছে। যেই যাবে পেয়ে যাবে – তোমার হার্ট।
রুদ্র = উফ…God. । এই পাগল মেয়েটাকে নিয়ে যে কি করবো- ইস্। বলি এতে সমস্যাটা কোথায় ?
চয়নিকা = বাহ্ বাহ্ কচি খোকা। কিছু বোঝে না যেন। আজকে লাভ রিয়েক্ট দিচ্ছ , সেটার মানে
বোঝো ? এতে ওরা ধরেই নেবে তুমি ওদের পছন্দ করো। এরপর কাল ইনবক্স করবে।
পরশু …. । এই দেখি তো মোবাইলটা কারা কী ইনবক্স করেছে দেখি।
রুদ্র = থামো থামো। please.
চয়নিকা = আজ ইনবক্স করবে কাল ডেটিংয়ের ইনভাইট। পরশু বলবে – একটা কথা বলবো রুদ্র….
আমি না তোমাকে , আমি না – তোমাকে…. (চিৎকার) ডিসগাস্টিং।
রুদ্র তুমি থাকো ওদের নিয়ে। তোমার ওই জলপরী নীলপরী ফুলপরী অনামিকা …..
রুদ্র = চয়নিকা –
চয়নিকা = কী ?
রুদ্র = কোনো বুলবুলি ময়না কাকাতুয়া নয়। আমি চাই শুধু চয়নিকা – আমার চয়না । -সু – চয়না।
এইদিকে তাকাও। Please – চয়না –
চয়নিকা = ওদের কেন তোমার হৃদয় খুলে খুলে দিচ্ছ তাহলে ?
রুদ্র = আরে যারা আমার লেখায় কমেন্ট করে তাদের তো রিপ্লাই দিতে হবে নাকি ?
চয়নিকা= তাই বলে লাল টকটকে হৃদয় দিয়ে বসবে ?
রুদ্র= ওহো। তুমি এত উতলা হচ্ছ কেন ? ওটা লাভ রিঅ্যাকশন , মানে ভালোবাসা নিও। ওটা ছোট
বড়-যে কোনো কমেন্টেই দেওয়া হয়। এখন ওটা লাভ সিম্বল , মানে প্রেম নিবেদন নয়। বুঝলে ?
আর ওই সিম্বল দিলে একেবারে হৃদয় খুলে খুলে দিয়ে দেওয়া নয়। আর –
চয়নিকা= আর ?
রুদ্র= আর ওদের কারো ভালোবাসার এত জোর নেই , যে আমার চয়নিকার কাছ থেকে আমার
হৃদয় কেড়ে নিতে পারবে। বুঝলে। তাছাড়া –
চয়নিকা= তাছাড়া ?
রুদ্র= আর। আমার হৃদয়টাই তো তোমার কাছে রাখা আছে। কাজেই সেটা আর কাউকে দেওয়া
সম্ভব নয়। বুঝলে ? আমি যতই লাভ সিম্বল দিই , সেটা শুধু একটা ডিজিটাল বিট মাত্র। হৃদয়
থোরি সেটা।
চয়নিকা= তাহলে ওরা কেন এত ভালো ভালো কমেন্ট করে , আর তোমাকে পটাতে চায় ?
রুদ্র= শোনো। তুমি কি চাও না লোকে আমার লেখা বেশি বেশি পড়ুক ? বেশি ভালোবাসুক ?
চয়নিকা= চাই তো ।
রুদ্র= তাহলে তো বেশি লাইক, বেশি কমেন্ট, বেশি শেয়ার চাই । চাই তো নাকি ?
চয়নিকা= চাই তো (নরম আদুরে গলায়) ।
রুদ্র= তুমি শিক্ষিতা , সমঝদার একটা মেয়ে। এত অবুঝ হলে হবে ?
চয়নিকা= আমার খুব ভয় করে জানো ?
রুদ্র= ভয়টাকে বিশ্বাস দিয়ে হারিয়ে দাও। ভরসা দিয়ে তাড়িয়ে দাও। এই ভয় থেকেই আসে
সন্দেহ। আর সেটা যে কোনো সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয় , জানো তো।
চয়নিকা= তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না তো ?
রুদ্র= আবার সংশয় ? জানো তো আধুনিক দাম্পত্য সম্পর্কগুলোতে – এই হারানোর ভয় থেকেই
সন্দেহ আসে। আর সন্দেহ বাড়তে বাড়তে সম্পর্কগুলো তলানিতে ঠেকে যায়। ‘ভুল- ক্ষমা-
বিশ্বাস’ এই তিন মন্ত্র হলো প্রেমের সত্যম্ – শিবম্ – সুন্দরম। এবার একটু হাসো তো দেখি।
প্লিজ। হাসো….
চয়নিকা= (কৃত্রিম হাসি দেয়) (হি হি হি হি) I really love you Rudra.
রুদ্র= I love you too.
তোমার কাছে সব টুকু রেখে
ঘুড়ির মতো নীল আকাশে উড়ি
এখন তুমি আমার আকাশ
পাগল করা নীলপরী লালপরী
চয়নিকা= আবার ?
রুদ্র= অবুঝ মেয়ের সবুজ মনের মাঝে
হলদে ধূসর সন্দেহেরই পোকা
উঁকি দিলেই ফেলবে ঝেড়ে তাকে
ভালোবাসার ফুল ফোটাবেই শাখা
চয়নিকা= আমি তোমার সবুজ অবুঝ পাখি
তোমার বুকেই রোজ লুকিয়ে থাকি,
হি হি হি হা হা……
রুদ্র = বাব্ বা তুমিও দেখছি কবিতা মেরে দিলে ?
চয়নিকা= তোমার কবিতাই তো হতে চাই।
হা হা হা — এতদিনেও বোঝোনি তুমি। কবে বুঝবে বলো তো । কবে বুঝবে ? কবে কবে কবে ?
( কথাগুলো ধীরে ধীরে ফেড আউট হতে থাকবে )
……………………….
প্রেমের সংলাপ -১০ এর PDF Download করে নিন👇🏿
কিশোর মজুমদারের কবিতার তালিকা 👇
আমিও পারি
আমিও পারি ২ / (শুধু তোমারই জন্য)
সম্পর্কের সামিয়ানা – প্রেমের কবিতা
পরবাসী – আবৃত্তির বাংলা কবিতা
একটি প্রেমের গপ্পো
সেই হাত কোথায়
রাত্রি
ফাঁকা পকেটে প্রেমের স্বপ্ন
ফাঙ্ ফাঙা নাগে
আকাশ ছোঁয়া
ভালো থাকিস খোকা
ভোর দেখব বলে
ঝরা পাতার উত্তর
মানে
আলপিনের বাক্স
একাকীত্বের অংশীদার
কান্না মেশে দীঘির জলে
সন্ধ্যাতারা
হৃদয় ফুলদানি
তোতন ভূত দেখেছে আজ
জলের ভাষায় মুখরতা
জল-কাজলের অক্ষর
নক্ষত্রের রাতগুলি
পোড়ো বাড়ি
মেয়ে-পুতুলের জন্মান্তর
মা, আমায় আরেকবার জন্ম দাও
কেন তুই চলে গেলি
কেমন আছে অপু দুর্গারা ?
গুগল সব জানে
প্রণয় গাথা
মনের মফস্বলে
সরলরেখায়
ত্রাণ শিবির
ভালবাসার মানে অভিধান দেখে শেখা যায় না
মোবাইল ফোন
গোলাপ , ছুরি ও বন্দুক
সাঁকো তলায় জলশব্দ
তার চেয়ে চলো
ব্যবধান
সম্পর্কের সামিয়ানা
ছাতা
কোনো শর্ত নিষ্প্রয়োজন
শিউলি ও শরৎ
আগমনী
স্বাধীনতা
হরনাথের পিসি
অভিমানী বর্ণমালা
মেটে শরীরের খোলস
বায়না
যে বসন্ত চাইনি কোনোদিন
তোমার তর্জনি ও আমার কম্পাস
ডাক
আহত ঘাসের শেকর
মোক্তার চাচা
বৃষ্টি নামার ছলে
ভারতটা ঠিক কোন দিকে
Sign Language ও বোবা আমি
ডানা
রাইকিশোরী
কৌণিক কক্ষপথ
মৃত্যু
মনজঙ্গল
বৃক্ষচ্ছায়া
প্রবেশাধিকার
গ্র্যাভিটি
ভোরের ট্রেন
ওড়না
তোমার তিন প্রহর
গান্ধর্ব
ডাস্টবিন
পুনর্জন্ম
পঞ্চবাণ
হাজার বছরের আড়াল
ফিরে এসো চয়নিকা
প্রেমের সংলাপ – ১ | আগুন
প্রেমের সংলাপ – ২ | কবি কবি ভাব
প্রেমের সংলাপ – ৩ | মানুষ এত বোকা কেন
প্রেমের সংলাপ – ৪ | পাগলা কবির মুড
প্রেমের সংলাপ -৫ | অন্ধকারের প্রেমিক
প্রেমের সংলাপ – ৬ | রোদ ও বৃষ্টি
প্রেমের সংলাপ-৭ | শরীর না মন
প্রেমের সংলাপ-৮ | চয়নিকার ঘর
প্রেমের সংলাপ – ৯ | রোমান্টিক একটা মেয়ে