সেই হাত ধ’রে হেঁটে যাওয়া পথ। কিশোর মজুমদার। বাংলা কবিতা ২০২০

Sei hat Dhore Hete Jaoa

সেই হাত ধ’রে হেঁটে যাওয়া পথ

সেই স্তব্ধ দুপুর থেকে হাঁটতে হাঁটতে
আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম বিকেলের নোনা আলোয়
কিছু শুকনো ঝরা-পাতা আমাদের চারপাশে
অশরীরী নীরবতাকে ভাঙতে
চেষ্টার খস খসে প্রমান ছড়াচ্ছিল দু’পাশে ।

আমি আর আমার ভবিষ্যৎ
এগুচ্ছিলো গল্পের হাত ধ’রে

তারপর বহুদিন ইতিহাস
বহুদিন কার্পেটে মোড়া পাপোশ ধুলো
চড়ে বেড়াতো গলির বাতাসে ।

আমরা আর হাঁটিনি গাছের ছায়ায় মৃদু অন্ধকারে
অস্পষ্ট ফাগুন কথা , বোশেখী বিরক্তি কিংবা
শরৎ অভিমানের চৌকাঠে পা রাখিনি বহুদিন ।

কতদিন পর
কেউ তুলে নিলো শেকড় থেকে মাটি
কেউ লিখে নিলো চান্দ্র আলাপন তর্ক পিপাসায়
কেউ দেখে গেল পাটকাঠির বোঝা সোঁদেলা পথ-বাঁক
আর আমরা কতবার কতদিন কত রাত ঘিরেছি মন্দ্রতায় ছায়ার প্রান্ত খুঁজে খুঁজে ।

শুধু এক অলস বিবর্তনের গোছানো ডাইনিং হল-এ
পেইন্টিং ঘেরা লুকোনো দীর্ঘশ্বাসের মতো
বেঁচে আছি ।

আজও হাতের নখ বড় হলে ভয় লাগে
পাশে হাঁটা নারীর চোখ থেকে
আজও চায়ের উষ্ণতা অনুযোগ
বাষ্পের বাতাসে ভেসে বেড়ায় ।

সেই স্তব্ধ দুপুর
যেখান থেকে আমরা হাঁটতে হাঁটতে বেড়িয়ে পড়েছিলাম
বিকেলের নোনা আলোয় ।
যেখানে শুকনো পাতার মতো আজও নিঃশব্দেরা ঘোরাফেরা করে পায়ে হাঁটা পথের দুপাশে
আমরাও অনন্তকাল হেঁটে চলতে থাকি
অশরীরী ছায়াদের মত ।


About the Author: Kishore Majumder

You might like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share