সেই হাত ধ’রে হেঁটে যাওয়া পথ
সেই স্তব্ধ দুপুর থেকে হাঁটতে হাঁটতে
আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম বিকেলের নোনা আলোয়
কিছু শুকনো ঝরা-পাতা আমাদের চারপাশে
অশরীরী নীরবতাকে ভাঙতে
চেষ্টার খস খসে প্রমান ছড়াচ্ছিল দু’পাশে ।
আমি আর আমার ভবিষ্যৎ
এগুচ্ছিলো গল্পের হাত ধ’রে
তারপর বহুদিন ইতিহাস
বহুদিন কার্পেটে মোড়া পাপোশ ধুলো
চড়ে বেড়াতো গলির বাতাসে ।
আমরা আর হাঁটিনি গাছের ছায়ায় মৃদু অন্ধকারে
অস্পষ্ট ফাগুন কথা , বোশেখী বিরক্তি কিংবা
শরৎ অভিমানের চৌকাঠে পা রাখিনি বহুদিন ।
কতদিন পর
কেউ তুলে নিলো শেকড় থেকে মাটি
কেউ লিখে নিলো চান্দ্র আলাপন তর্ক পিপাসায়
কেউ দেখে গেল পাটকাঠির বোঝা সোঁদেলা পথ-বাঁক
আর আমরা কতবার কতদিন কত রাত ঘিরেছি মন্দ্রতায় ছায়ার প্রান্ত খুঁজে খুঁজে ।
শুধু এক অলস বিবর্তনের গোছানো ডাইনিং হল-এ
পেইন্টিং ঘেরা লুকোনো দীর্ঘশ্বাসের মতো
বেঁচে আছি ।
আজও হাতের নখ বড় হলে ভয় লাগে
পাশে হাঁটা নারীর চোখ থেকে
আজও চায়ের উষ্ণতা অনুযোগ
বাষ্পের বাতাসে ভেসে বেড়ায় ।
সেই স্তব্ধ দুপুর
যেখান থেকে আমরা হাঁটতে হাঁটতে বেড়িয়ে পড়েছিলাম
বিকেলের নোনা আলোয় ।
যেখানে শুকনো পাতার মতো আজও নিঃশব্দেরা ঘোরাফেরা করে পায়ে হাঁটা পথের দুপাশে
আমরাও অনন্তকাল হেঁটে চলতে থাকি
অশরীরী ছায়াদের মত ।