নক্ষত্রের রাতগুলি
কিশোর মজুমদার
নদী এসে হাত ধ’রে নিয়ে গেল কবিকে ।
নদী ভরা জল আর হৃদয়-ভরা ভাব নিয়ে
দু’জনের গল্প চলতে থাকে
নদী তার দুটি পারের আলিঙ্গনে
কবিকে শীতল আদরে জড়িয়ে রাখল
স্নিগ্ধ , শীতল আর মন ভুলানো মাদকতায় ।
কবির চোখ জড়িয়ে এল ঘুমে ;
দিন পনেরো পর
ধূ ধূ বালুচরে ঝকঝকে দাঁত মেজে
একফালি চাঁদ উঠলো আকাশে
অসীম স্নিগ্ধতায় কবিকে ডেকে তুললো সে
নদীর শীতলতা ছাড়িয়ে
আরেক মাতাল করা জ্যোৎস্নায় জড়িয়ে
কবি জেগে উঠলো ;
বালির শুষ্কতায় মাখামাখি কবি
শরীরের আড়ষ্টতা ভেঙে চেয়ে দেখলো
রুপোলি জ্যোৎস্না বিছানো বালির চাদরে সে শুয়ে আছে ।
উপরে আকাশ-ভরা তারা কোনটি স্মৃতির মতো
মিলিয়ে যাবার পরও শেষ আভাটুকু নিয়ে
কবিকে নাড়িয়ে যাচ্ছে ।
কবি শুয়ে আছে অজস্র বালুকণায়
আর আকাশটা কাশ্মীরি কালো শালের ওপর
আলোর ফুটকি নিয়ে কবির চোখে মুখে
বৃষ্টির মতো ছিটিয়ে দিচ্ছে বিভাবিন্দু
কবি উঠে দাঁড়ায়
আরেকটা গল্পের প্লট বুকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করে —
মানুষের কোলাহল কানে আসতে থাকে
ক্রমশঃ আবছা হয় —-
নদী—-জ্যোৎস্না—নক্ষত্রের রাতগুলি ।
**********