মেটে শরীরের খোলস
কিশোর মজুমদার
সুনসান উঠোনের পাশে
দেশ পৃথিবী ঝাড়া আবর্জনার মতো
জ্ঞানবৃক্ষের কলি নিয়ে শুয়ে থাকি আমি ।
ঠাকুমা রোজ শুকনো বাসি ফুলগুলি যেখানে
ফেলে দিতেন অবহেলায়।
পুজোর মুখরতা কীভাবে মৌনতায় বারুদ হত
আমার ভেতরে মনে মনে —
আমি মেটে শরীর ভেঙে গাছ হয়ে উঠি একটু একটু করে,
চুল থেকে নখ শেকড় থেকে ফুলকুঁড়ি-বীজ
বাস্পজন্ম ভেদ করতে করতে
আমি এখনো আঁকাবাঁকা দাঁড়িয়ে —
অনন্ত উঠোনের কোন ঘেঁষে ।
সমস্ত লাবণ্যের মাটি গায়ে মেখে
রক্তের মতো রস-উৎস্রোত । আসলে
জন্মের নামে আমি শেকড় ভেদ করে চলি
আজন্ম উঠোনের নিঃশব্দ কোণে ।
××××××××××