প্রেমের সংলাপ – ৪
” পাগলা কবির মুড “
চয়নিকা — আজ কোন কবিতা শোনাবে
রুদ্র — আজ আর কোন কবিতা নয় , আজ শুধুই তুমি আর আমি, মানে আমরা শুধু দুজনে।
চ– হুম, বুঝেছি । তার মানে তোমার ওই জ্ঞানগর্ভ কথা হবে, লাগবে না যাও।
রু– তুমি তো আমাকে জানোই। তোমায় কাছে পেলে…
চ– কি, কাছে পেলে, কবিতা পালিয়ে যায় ?
রু– উফ, শুরু হলো ইয়ার্কি, কবিতা পালাবে কেন? মানে একটু ইয়ে মানে, ইয়ে হয় আর কি
চ– ইয়ে মানে কি গো, বলো না।
রু– ইয়ে মানে মানে—
চ– মানে, ও, বুঝেছি।
রু– কি বুঝেছো?
চ– বলবো কেন? যা বোঝাতে চাইছো,তাই বুঝেছি ।
এবার বলোতো আজ কি লিখেছো।
আমায় আসার টাইম দিয়েছো ১টায়, তুমি এসে বসে আছো, কটায় হবে,, কটায় বলোনা, কটায়, ১০টা, ১১টায় ।
এতক্ষণ শুধু ই লিখলে, নাকি আমায় ছাড়াই তোমার বেশি ভালোলাগে
রু– ওই আর কি লেখাও ছিল।
আর মনে করে নাও না দুর্গাপুজোর শুরুর অনেক আগে থেকেই মানুষ যেভাবে প্রস্তুতি নেয়,ওইরকম ই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম ।
চ– মা দুর্গা মর্ত্যে যাবেন শুনে, মহাদেব তিন ঘন্টা ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে । এমন তো শুনিনি, আর কিসের ই বা প্রস্তুতি নেবেন ।
যাকগে কি লিখলে শোনাবে না?
রু– হুম, শোনাবই তো । পরে শোনাই, আসলে মুড আসছে না।
চ– আজ আবার কি হলো ? মুড কে চুরি করলো আবার ?
শোনো, দিনে দিনে দেখছি তোমার ফ্যান ফলোয়ার বেড়েই চলেছে, ব্যাপার কি হ্যাঁ ….?
রু– কেন, ঈর্ষা হয় বুঝি…?
চ– হবেই না বা কেন বলো । দিনে দিনে মুড চুরি যায়, মাঝে মাঝেই আনমনা দেখি। কবিদের কোন বিশ্বাস নেই
রু– বাজে কথা বললে । কবিরা কি দোষ করলে আবার।
চ– জানি না, তবে ভয় লাগে। যদি আমায় ছেড়ে আর কোন পাঠিকার পাল্লায় পড়ে যাও ।
রু– শুনো আমার চয়নিকা, আমার চয়না ,আমার সু—চয়না, হাজারটা মেয়ের মধ্যে যখন তোমাকে ভালোবেসেছি, বুঝবে, তোমার মধ্যে কুছ তো স্পেশাল হ্যায় ….
চ– কি এমন স্পেশাল দেখলে গো আমার মধ্যে ?
বলো না গো প্লিজ, আমার মধ্যে কি আছে আমিই জানি না। তুমি বলে দাও…
রু– শুনবে….
চ– হুম বলো….
রু– চোখের পাতায় ঘুমন্ত রোদ্দুর
ঠোঁটের কাছে জ্যোৎস্না লেগে আছে
যাই কি করে বলো তোমার কাছে
ফুল ফুটেছে কাঁটায় ভরা গাছে।
চ– কাঁটায় ভরা গাছে ? আবার কাঁটা কোথায় পেলে? আমি তো নিষ্কণ্টক ….
রু– বাহ্। তো চলো, কাল দিল্লি ঘুরে আসি…
চ– ইসসস্ বাবা ঠ্যাঙাবে। আর তোমার সাথে যাবোই বা কি করে ?
রু– এক নম্বর কাঁটা এটা, বুঝলে…
চ– ছিঃ, বাবাকে কাঁটা বলছো…!
বলোতো কোন বাবা মা মেয়ে কে ছেড়ে দেবে..?
রু– যাইহোক, শুনবে না তর্ক করবে ?
চ– হ্যাঁ শুনবো বলো। তারপর…
রু– আঁছড়ে পড়ে দুষ্টু জলের ঢেউ
পাড়ের কাছে ভাঙন লেগেই আছে
জল ছুঁতে যায় ছটফটানি মন
ঝাপট মারে ডাঙায় তোলা মাছে…
চ– বাহ্ তারপর…
রু– হাতড়ে বেড়ায় জোনাকি এক ঝাঁক
আঙুল থেকে ইশারা পায় গতি
পা দুটো চায় নিঝুম চলার পথ
মধুর লোভে তোমার গাছের প্রতি।
——-হল এবার,, আজ থাক। চলো ওঠা যাক ।
চ– হুম চলো।
থাকো না আরেকটু…..
রু– উঠতেই হবে, উপায় নেই। প্লিজ
চ– কি আর করা। পাগলা কবির মুড।
চলো যাই।
দেখে নিতে পারেন 👇
- প্রেমের সংলাপ – ১ | আগুন
- প্রেমের সংলাপ – ২ | কবি কবি ভাব
- প্রেমের সংলাপ – ৩ | মানুষ এত বোকা কেন
- প্রেমের সংলাপ – ৪ | পাগলা কবির মুড
- প্রেমের সংলাপ -৫ | অন্ধকারের প্রেমিক
- প্রেমের সংলাপ – ৬ | রোদ ও বৃষ্টি
- প্রেমের সংলাপ-৭ | শরীর না মন